শিক্ষক দিবসের সাতকাহন...
(লেখাটি আমার স্কুল জীবনের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক মারীয়া চিরান, অতুল বিশ্বাস, স্বর্গীয় গোষ্ঠ চন্দ্র সূত্রধর, রেহানা হোসেন, অমলেশ রয়, অনুপ হাগিদক, জেমস জে চিরান, অনিতা দাস, বিনয় দিব্রু, ধীরেশ চিরান, রত্না চিসিম, ফিলমিনা ম্রং, মারটিন ম্রং, স্বর্গীয়া জুলিয়ানা ম্রং, স্বর্গীয়া সিস্টার ফিলোমিনা কুইয়া সিএসসি, সিস্টার রানী সিএসসি, সেনা চাম্বুগং, বিষ্ণু নকরেক, শুভ্রতা মানখিন, কচিন রিছিল, রবীন্দ্র নাথ, সঞ্জয় চাম্বুগং, নবিণা কুবি, তারা নকরেক, ব্রিজিতা নকরেক প্রমুখদের স্মরণে। যারা আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন না, কিন্তু তারও চেয়ে বেশি স্নেহসিক্ত করেছেন জলিল স্যার, মাসুদ স্যার, সামদানী স্যার, চুন্নু স্যার সহ আরো অনেকে, যাদের নাম না উল্লেখ করলেও তাঁরা ঠিকই বুঝে নিবেন! লেখাটি শিক্ষক বন্ধুদের জন্যও... হারুন রশীদ ভাই এমন একটা লেখা মধুপুরবাসী গ্রুপে পোস্ট দেয়ার ওনুরোধ করেছেন বলেই পোস্ট দিলাম!)
ধান ভানতে শিবের গীত (প্রাক কথন)
মধুপুর, টাঙ্গাইলের স্যার বাহাজ আলী ফকীর এর নাম আমরা প্রথম আলো আর The Daily Star কল্যাণে অনেক আগেই শুনেছি। আরেকজন স্যারের কথাও শুনেছি যিনি অর্ধবেলা ইটের ভাটায় কাজ করতেন আর আধবেলা স্কুলে পড়াতেন! কেউ কি সে শিক্ষকের নাম বলতে পারবেন?
বাহাজ স্যার সম্পর্কে The Daily Star গত ৬ অক্টোবর A teacher with a difference: Bahaz takes no day-off, no leave for 33 years শিরোনামে প্রথম পাতায় একটি রিপোর্ট ছাপে। একটু দেখা যাক কি লেখা আছে সেখানে?
'Md Bahaz Ali Fakir, an English teacher of a secondary school, has not taken even a day's leave for the past 33 years, setting an example of great devotion to his profession.
Teaching at Shaheed Smrity High School and College in Tangail's Madhupur upazila, Bahaz, 55, has been off work only on weekends and national holidays over the years, despite many difficulties along the way.
Headmaster of the school Mohammad Bazlur Rashid Khan said other teachers in the institution have followed Bahaz's footsteps and promised to work without taking leave.
The headmaster narrated how Bahaz came to work even on September 14 -- the day his mother died -- after keeping the body at his yard in the morning.
“After signing the [attendance] register, Bahaz took the day's first class and returned to his house. But surprisingly, he came back to school right after his mother's burial and went on to take his scheduled class,” said the headmaster.
রিপোর্ট টি করেছেন টাঙ্গাইল থেকে আমার বন্ধু মীর্জা শাকিল। গত বছর শিক্ষক দিবসে আমার আরেক বন্ধু কামনাশীস শেখর এমন চমৎকার একটা প্রতিবেদন করেছিলেন। এমন সমাজ বদলে দেয়া খবর আমরা চাই। আশা জাগানিয়া খবর, স্বপ্ন উড়া উড়ি করা খবর!
আমাদের আরেক শিক্ষক রঞ্জিত কুমারকে নিয়েও সব পত্রিকা বেশ অনেকদিন লিখেছে যিনি ১২ বছর বিনা বেতনে ছাত্র পড়িয়েছেন! হাজারো মন খারাপ করা খবরের মাঝে এমন হৃদয় জুড়ানো খবর কি আমাদের নেই?
শিক্ষকতা মহান পেশা। আসলে একে পেশা না বলে জীবনাহবান বলাটাই অধিকতর প্রাসঙ্গিক হবে বোধ করি। কারণ এ পেশায় মানুষ আসেন হাজারো মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য, জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা অথবা জীবনের দিকে ধেয়ে আসা সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার পাঠ কিংবা তার বুলেট সমাধান দেওয়ার জন্যই এঁদের অভিরাম পথচলা! নদীর দুধারের মানুষের সাথে সেতু বন্ধন গড়ে দেওয়ার জন্য দিনরাত কাজ করতে হয়; সেতু বন্ধন গড়ে দিতে হয় ব্যাক্তি আর তার জীবনের সাথেও! এজন্য তাঁকে প্রতিদিন মিনিমাম ঘন্টা দুই বই পড়তে হয়; ক্লাশে বা শিক্ষা-প্রতিস্টানে থাকতে হয় গড়ে ৭-৮ ঘন্টা; খাতা দেখতে হয় গড়ে প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা; ছাত্র- অভিভাবকদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয় গড়ে দুই ঘন্টা; টেলিফোনে কথা বলতে হয় গড়ে ১ ঘন্টা! (সময় কারো কারো জন্য কম বেশি হতে পারে!)।
এখানে খেয়ে পড়ে দিব্যি ভালো থাকার সমূহ সম্ভাবনা নেই! এ সব জেনেও কিছু নির্বোধ মানুষ (!) কষ্টকে আলিঙ্গণ করেন কারোর নীরব হাতের ইশারায়! নিজের সমস্যার কথা এখানে ভাব্বার ফুরসত খুব একটা নেই। শিক্ষকদের ভুল করলে চলে না! পান থেকে চুন খসলে এখানে মোটেই চলে না। তাঁদের অনেকটাই ফেরেস্তা হতে হয়। হবেই না বা কেন? তা না হলে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী তাঁদের অনুস্মরণ করবেই বা কেন? তবে ভাল-মন্দ মিলিয়েই একেকজন শিক্ষক। তাঁরাও আমাদেরই লোক! তারাও রক্ত মাংসে গড়া মানুষ! আমাদের পরিবার, সমাজ, দেশ, পৃথিবী থেকেই ত শিক্ষক হন। তাই তাঁরাও সমালোচনার আওতার বাইরের কেউ নন!
শিক্ষকতার আসল মজা হলঃ এখানে হাজারো মানুষের হাজারো আইডিয়াতে ভাগ বসানো যায়! একেক ছাত্র/ছাত্রী প্রতিদিন একেক আইডিয়া শেয়ার করে থাকে। আর শিক্ষক জানতে-অজান্তে তাঁর স্টুডেন্টদের থেকেও অনেক বিষয় শিখে নিতে পারেন! আর প্রতিদিন তরুণদের সাথে তাঁদের সমস্যা-সম্ভাবনা, চিন্তা-ভাবনা, ধ্যান-ধারণা, কথন-কৌশল, ফ্যাশন ভাবনা নিয়ে কথা বলতে পারাটা খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। এদের কাছে থাকলে নিজেকে সব সময়ই চাঙ্গা লাগে! আর যখন তাঁরা ফোন করে জানাবেঃ স্যার/ম্যাডাম, আমি বুয়েটে/ম্যাডিকেলে/বিশব্বিদ্যালয়ে/সেনাবাহিনীতে/বিসিএসএ চান্স পেয়েছি!' কিংবা বলবে, 'আমি দেশের বাইরে স্কলারশীপে পড়তে যাচ্ছি, দোয়া করবেন!/আমার ভাল একটা জব হয়েছে!' তখন মনে হবে আমি পৃথিবীর একজন মানুষের জন্য সামান্য কিছু দিতে পেরেছি। এই ভালোলাগার মূল্য অপরিমেয়, অপরিমাপযোগ্য! আমার তখন ব্যাক্তিগত অনুভূতিঃ আমি নোবেল জয় করে ফেলছি এমন! আমার এমন ভালোলাগে কোন ছাত্র/ছাত্রীর ভাল একটা সংবাদ পেলে! অন্য শিক্ষকদের অনুভূতিও নিশ্চয় এমনই!
আমার কিছু ছাত্র-ছাত্রী আছে, তাঁরা মাঝে মাঝে আমাকে বলে, 'স্যার টিচারদের নিয়ে, তাঁদের ভেতরের খবর নিয়ে কেউ লিখে না! আপনি ত লিখেন অনেক কিছু! তাঁদের সুখ-দুঃখ নিয়ে কিছু লিখবেন?' এদের বেশিরভাগ কোন শিক্ষকের ছেলে-মেয়ে! কিছুদিন আগে আমার অগ্রজ জাপান প্রবাসী হারুন রশীদ ভাইও এমন কথাই বললেন! তিনি অবশ্য শিক্ষকতা পেশায় আমার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে অনুরোধ করেছিলেন।শিক্ষকতা করতে গিয়ে আমার সুখ-দুঃখের কথা লিখতে বলেছিলেন। সবার কথা একটু একটু করে রাখতে গিয়ে কয়েকটা দিক টাচ করার চেষ্টা করছি!
নিজের কথা বলতে গেলে আমি ভালো শিক্ষক ছিলাম না বলে রাখা ভালো। তবুও প্রতি বছর শিক্ষক দিবসে শ খানেক ইমেল, এস এম এস, ফোন কল পেতাম! পড়তে পড়তে ক্লান্ত হলেও ধৈর্য ধরে সব এস এম এস, ইমেল, ফোন কল রিসিভ করতাম। উত্তরও দিতাম। অধ্যাপনা ছাড়ার পরেও গত বছরও অনেক শুভেচ্ছা এসেছিলো। অধ্যাপনা ছেড়ে দেওয়ার দু'বছরের মাথায় এবার সে সংখ্যা শুণ্যের কোঠায়! অস্ট্রেলিয়া-র এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার এক প্রাক্তন ছাত্রী রাশা জাহান (ছদ্ম নাম) শুভেচ্ছা না পাঠালে শূন্যই হতো! ধন্যবাদ রাশা । আমার মনে হয় রাশা এই লেখাটি পড়বে! (বাহুল্য কিছু লিখলে সে যেন এড়িয়ে যায়। স্যরি।)
রাশা-কে আমি কোন কলেজে পড়াই নি! ২০০৩ সালে মধুপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের চাকুরী থেকে ইস্তফা (তৎকালীন সরকারের একটা ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার জন্য বাধ্যতামূলক রিজাইন করতে হয়; আমি স্যরি বলিনি কারণ আমি অন্যায় করিনি। আমার পরিবারও চায়নি আমি আপোষ করি) দিয়ে একটি এন জি ও তে বড়কর্তা হিসেবে প্রায় দু'বছর কাজ করার পর আবার ঢাকার নামজাদা এক কলেজে অধ্যাপনায় যোগদান করি ২০০৫ সালের ৫ মে। আমার বেতন তখন (৪,৩০০+৫০০) ৪৮০০ টাকা। পূর্বে ৫ বছর দুটো কলেজে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকার কল্যাণে ৫০০ টাকা বেশি পেতাম! আমার বাসা ভাড়া ছিলো ৯,৫০০ টাকা। আনুষঙ্গিক বিল ৩,০০০ টাকা। আপ্যায়ন খরচ বাবদ বাজেট ছিলো ৩,০০০ টাকা! প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকার উপরে ব্যয়! আর সেলারি পাই ৫,০০০ টাকারও নিচে। আমার স্ত্রী আমাকে মাঝে মাঝে বেতনের কথা জিজ্ঞেস করত; আমি কখনোই তাঁকে মুখ ফুটে বেতনের কথা বলতে পারিনি। শুকনো হাসি দিয়ে শুধু বলেছি, 'আমরা না খেয়ে থাকব না, ইনশাল্লাহ!' মনিও শিক্ষকতা করে গ্রামের স্কুলে। বুদ্ধিমতী বউ যে হাসির অর্থ বুঝত না তা কিন্তু নয়! সে নিজে টিউশনি কখোনো করেনি, আর আমি করি সেটাও তাঁর পছন্দ ছিলো না। কিন্তু ব্যাপারবিষয়টা এমন দাঁড়ালো যে ক্লাশের বাইরে ছাত্র না পড়ালে ঘর ভাড়া দেয়া মুশকিল, শিক্ষকতা পেশা টিকিয়ে রাখা ত পরের কথা! ঢাকায় হন্যে হয়ে পার্ট টাইম খুঁজা শুরু করলাম। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া, এই নিয়ে হাসাহাসিরও ব্যাপার হয়ে গেলো। সবাই হাসাহাসি করে আর বলে, 'ইংরেজি শিক্ষকের এই কি দশা!'
মাস ছয় নিজের সেভিংস থেকে টাকা তুলে ঢাকা শহরে ফুটানি দেখিয়ে মাস্টারি করলাম। গ্রামের বাড়ি থেকে চাল-ডাল নিয়ে আসতাম! মনিকে বলতাম, 'বাজারের চাল-ডাল আমার ভালো লাগে না একদম!' মনি হাসত আর খুব উৎসাহ করে চাল-ডাল গুছিয়ে দিত।
কত আর বাড়ি থেকে এনে শহরের সংসার চালানো? তাই সবার মত আমিও ছাত্র-ছাত্রী পড়াতে নেমে গেলাম! ঢাকা শহরে রাশা-ই (ছদ্ম নাম) আমার প্রথম ছাত্রী! সে তখন ঢাকা কমার্স কলেজে পড়ত। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। অসম্ভব বুদ্ধিমতি আর অমায়িক ছিল সে। এখন নিশ্চয়ই আরো তুখোর হয়েছে! বাবা ছিলেন বুয়েটের তুখোর ছাত্র।দেশের সেরা প্রকৌশলীদের একজন। মা জমিদার বংশের কন্যা।তাদের শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাকে মুগ্ধ করত! আমার কখনো মনে হয়নি আমি অন্যের বাসায় ছাত্রী পড়াতে যাই। নিজের পরিবারই মনে হয়েছে। আর রাশা-কে কখনো নিজের মেয়ে, কখনো ছোট বোনই মনে হয়েছে সব সময়।
আমার দেখা প্রায় সব শিক্ষকদের গল্পই কম বেশি একই রকমের... গ্রামের টিচারদের অবস্থা খুব ভয়াবহ! তাঁদের ৮০-৯০ শতাংশ শিক্ষকদের সারা মাস দোকানে বাকীতে বাজার ঘাট সারতে হয়। মাস শেষে সেলারির সবটাই দোকানীকে দিয়ে দিতে হয়! কখনো কখনো তাঁদের বেতন দুই তিন মাস পর পর আসে। তখন তাঁদের অবস্থা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না! সেলারি চলনসই হলে এঁদের কেউই টিউশনি করতে রাজি নন! বেশির ভাগ শিক্ষককেই আমি সৎ দেখেছি। যে কথাটি বলতে চাইঃ শিক্ষকদের টিউশনি বন্ধ হওয়া দরকার; তাঁর আগে দরকার তাঁদের জন্য চলনসই বেতন-কাঠামো! সে কি হবে আমাদের দেশে?
এতক্ষণ ধান ভানতে শিবের গীত গাইলাম। আসল উদ্দেশ্য শিক্ষক দিবস সম্পর্কে একটু লেখা!
শিক্ষক দিবসের সাতকাহন...
শিক্ষকগণ মানুষ গড়ার কারিগর এটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁরা ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তাঁরা যুগে যুগে আমাদের পথ দেখানোর কাজ করেছেন এবং করবেন যতদিন সূর্য, চন্দ্র থাকবে, মানুষ থাকবে এই অসহনশীল পৃথিবীতে।
পৃথিবীর অনেক দেশে এই শিক্ষক সমাজকে তাঁদের অপরিসীম অবদানের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিন ধার্য রাখা হয়। এই বিশেষ দিনটিকে আমাদের দেশে 'শিক্ষক দিবস' পশ্চিমা দেশে 'টিচার্স ডে' বলে অভিহিত করা হয়।
শিক্ষকদের বিশেষ অবদানের জন্য তাঁদের সম্মান প্রদর্শনের রীতি সারা বিশ্বে প্রচলিত। তবে একেক দেশে একেক দিনে, তারিখে এই শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে থাকে! বাংলাদেশে ৫ অক্টোবর শিক্ষক দিবস হিসেবে নামকাওয়াস্তে পালন করা হয়ে থাকে। অনেক শিক্ষক এই দিনটিকে মনেই রাখেন না। 'হ্যাপী টিচার্স ডে' বললে অনেকে চমকেও উঠেন! 'World Teachers' Day' শিক্ষক দিবস থেকে আলাদা করে পালন করা হয়ে থাকে কোন কোন দেশে! ৫ অক্টোবরকে সারা পৃথিবীতে World Teachers' Day হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে!
শিক্ষক দিবস পালনের ইতিহাস Wikipidia তে সুন্দর করে দেয়া আছে, "The idea of celebrating Teachers' Day took ground independently in many countries during the 20th century; in most cases, they celebrate a local educator or an important milestone in education (for example, Argentina commemorates Domingo Faustino Sarmiento's death on September 11 since 1915,[2] while India celebrates Dr. Sarvepalli Radhakrishnan's birthday on September 5 since 1962[3]). This is the primary reason why countries celebrate this day on different dates, unlike many other International Days."
আগেই বলেছি, বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি বিভিন্ন তারিখে পালিত হয়। কয়েকটি দেশের তালিকা সংক্ষেপে দেওয়ার চেস্টা করছিঃ
বাংলাদেশে ৫ অক্টোবর; নেপালে জুলাই এর মাঝামাঝি সময়ে; আফগানিস্তানে ১৫ অক্টোবর; আলজেরিয়াতে ২৮ ফেব্রুয়ারি; আরজেন্টিনাতে ১১ সেপ্টেম্বর; অস্ট্রেলিয়াতে অক্টোবরের শেষ শুক্রবার এই দিবস পালন করে থাকে!
অপরদিকে World Teachers' Day টা UNESCO ১৯৯৪ সাল থেকে ১০০ টিরও বেশি দেশে পালন করে আসছে। এই সকল দেশগুলোতে ৫ অক্টোবরই এক যোগে দিবসটি উদযাপন করে থাকে।
সারা বিশ্বের ১১ টি দেশ ২৮ ফেব্রুয়ারি এক যোগে Teachers' Day পালন করে থাকে। এই দেশগুলো হচ্ছেঃ Morocco, Algeria, Tunisia, Libya, Egypt, Jordan, Saudi Arabia, Yemen, Bahrain, UAE, and Oman.
আরো ১৫ টি দেশ ৫ অক্টোবর দিনটিকে পালন করে: Azerbaijan, Bulgaria, Estonia, Germany, Lithuania, Macedonia, Republic of Moldova, Netherlands, Pakistan, Philippines, Qatar, Romania, Russia, Serbia, and Mauritius.
লক্ষণীয় বিষয় হলো, এই দিনে শিক্ষকদের প্রতি ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শনের লক্ষে দিনটি পালিত হলেও অনেক দেশেই তা কেবলই আনুষ্ঠানিকতা মাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বাংলাদেশের কথা বলা টা বাহুল্য মাত্র! শিক্ষকদের প্রতি এই যে অসীম অবহেলা, সীমাহীন বঞ্চনা তার মাত্রা কমানো জরুরী। যখন শিক্ষক ছিলাম, কখনো এই কথা বলতে পারিনি!
শিক্ষক দিবসে পৃথিবীর সকল শিক্ষকদের শিক্ষক দিবসের শুভেচ্ছা রইল। আর আমার সকল শিক্ষকদের জন্য পা ছুঁয়া সালাম।
[শুধু শিক্ষকতার পেশায় জরিতদেরকেই ট্যাগ দেওয়া হলো; অন্যরাও সময় পেলে পড়বেন! কারো কোন আইডিয়া, অনুভূতি, প্রতিক্রিয়া থাকলে মন খুলে লিখবেন প্লিজ! ]
তথ্যসূত্রঃ The Daily Star; দৈনিক প্রথম আলো; উইকিপেডিয়া; ইন্টারনেট
No comments:
Post a Comment